প্রেমের টানে ভারত ছেড়ে বাংলাদেশে আসা তিন কিশোরীকে এক বছর কারাভোগ শেষে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর আগে তাদের দুই প্রেমিক আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশে ফিরে যায়।
সোমবার সকালে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তাদেরকে ভারতের পেট্রাপোল পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ফিরে যাওয়া তিন কিশোরী হলো, ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়া থানার সালতিয়া পশ্চিম পাড়া এলাকার শিবানী শিকদার (১৮), একই এলাকার হেমা বিশ্বাস (১৫) ও ফুলতলা বিশ্বাস পাড়ার মিতালী অধিকারী (১৭)।
এর আগে তাদের সঙ্গে আসা দুই প্রেমিক এক বছর কারাভোগের পর দেশে ফিরে যায়। তারা হলো, ভারতের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়া এলাকার শালুয়া গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে আমিনুল ইসলাম (১৫) ও একই এলাকার ক্ষিতিশ বিশ্বাসের ছেলে অপরুপ বিশ্বাস (১৭)। গত ২২ আগস্ট বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে তাদেরকে ভারতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির অ্যাডভোকেট নাসিমা খাতুন জানান, দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে সোমবার বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিনের ফাস্ট সেক্রেটারি রমাকান্ত গুপ্ত তাদের নিজ জিম্মায় নিয়ে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের মাধ্যমে ভারতের পেট্রাপোল পুলিশের হাতে হস্তান্তর করেন।
সেখান থেকে ভারতের ‘সংলাপ’ নামের একটি এনজিও প্রতিষ্ঠান তাদেরকে গ্রহণ করে অভিভাবকদের হাতে তুলে দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, যশোর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জাহিদ হাসান (ডিএসবি), বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হাসান ও মোমিনুল ইসলাম, ঢাকা কিশোরী সংশোধনী কেন্দ্রের সহকারী প্রোগ্রাম ম্যানেজার নাসিমা সুলতানা প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট নাসিমা খাতুন আরো জানান, গত বছরের ২৪ আগস্ট তিন কিশোর ও তিন কিশোরী প্রেমের টানে সীমান্তের অবৈধপথে বাংলাদেশে আসে। পরে তারা খুলনা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। সেখান থেকে শিবানীর প্রেমিক মিঠুন কৌশলে পালিয়ে যায়।
পুলিশ তাদের পাঁচজনকে আদালতে হাজির করে। আদালত দুই কিশোরকে যশোর কিশোর সংশোধনী কেন্দ্রে পাঠায়। আর কিশোরী তিনজনকে গাজীপুরের কিশোরী সংশোধনী কেন্দ্রে পাঠান। আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় ওই সময় কিশোরীরা দেশে ফিরতে পারেনি।
পাঠকের মতামত